মার্কিন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) স্টারলিংকের কর্মকর্তার হাতে লাইসেন্স হস্তান্তর করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল বারী।
গত ৭ এপ্রিল স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেড, নন-জিওস্টেশনারি অরবিট স্যাটেলাইট (এনজিএসও) সার্ভিস অপারেটর হিসেবে লাইসেন্সের আবেদন করে। যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকার পরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এই বৈশ্বিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত, দুর্গম এবং উপকূলীয় এলাকায় মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংক একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ইন্টারনেট বন্ধের প্রতিবাদে স্টারলিংকের আগমন একটি গণদাবিতে রূপ নিয়েছিল। একইসঙ্গে, বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব দেশ হিসেবে উপস্থাপনের একটি কৌশল হিসেবেও এটি বিবেচিত।”
তিনি আরও জানান, “দেশের দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে স্টারলিংককে দ্রুত কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ জানাতে স্পেসএক্স সিইও ইলন মাস্ককে ফোন করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে বিডা, বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নিবিড়ভাবে কাজ করেছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্টারলিংকের আগমন বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
Nazmul Islam 















